
আজ আমরা আলোচনা করব মা, মা, মা এবং বাবা বইটির একটি বিস্তারিত রিভিউ নিয়ে, যা তরুণ প্রজন্মের কাছে আরিফ আজাদ সম্পাদিত অন্যতম জনপ্রিয় একটি বই হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এই সংকলনটি মূলত সেই দুই ব্যক্তিত্ব— আমাদের পিতা-মাতা— যাদের ঋণ কোনোভাবেই শোধ করা সম্ভব নয়, তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও ভালোবাসার গভীর অনুভূতিকে কেন্দ্র করে রচিত।
বইটির মূল উদ্দেশ্য হলো, সন্তানেরা যেন তাদের মা বাবা-র অবাধ্যতার শোচনীয় পরিণতি এবং তাদের বাধ্যগত থাকার পুরস্কার সম্পর্কে সচেতন হয়। আরিফ আজাদ এখানে বিভিন্ন হৃদয়স্পর্শী গল্প, বাস্তব জীবনের ঘটনা, এবং কোরআন ও হাদিসের শিক্ষামূলক ঘটনাগুলো একত্রিত করেছেন। এই গল্পগুলো পড়লে প্রতিটি পাঠকের কাছে মা বাবার গুরুত্ব এবং তাদের প্রতি উত্তম আচরণের প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
বইটির অন্যতম শক্তি এর বাস্তবিক উপস্থাপনা এবং আবেগপ্রবণতা। গল্পের মাধ্যমে লেখক দেখিয়েছেন, কীভাবে সামান্য অবহেলা বা দূরত্ব একটি পরিবারে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে, আবার সামান্য ত্যাগ কীভাবে জীবনে সৌভাগ্য এনে দেয়। বিশেষ করে, বইটির সূচিপত্রে উল্লেখিত ‘মায়ের চিঠি’, ‘বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসুন’ বা ‘অনুশোচনার গল্প: হারিয়ে ফেলার পরে’ শিরোনামের অংশগুলো পাঠকের মনে গভীর প্রভাব ফেলে।
বইয়ের প্রাসঙ্গিকতা ও লেখকের বার্তা: যারা জীবনে ইসলামিক সাহিত্য বা নৈতিক শিক্ষামূলক কনটেন্ট খোঁজেন, তাদের জন্য এই বইটি একটি চমৎকার সম্পদ।
বইটি পড়ার পর, যদি আপনি লেখকের বক্তব্য শুনতে চান, তবে আরিফ আজাদের ইউটিউব চ্যানেলে (Arif Azad) থাকা “বাবা-মা’র জন্য ভালোবাসা” শিরোনামের এই ভিডিওটি দেখতে পারেন:
ভিডিওটির মূল সুর এই বইয়ের বার্তার সঙ্গে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং এটি মা বাবার প্রতি ভালোবাসা আরও বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
কেন বইটি পড়বেন? মা, মা, মা এবং বাবা বইটি কেবল পড়ার জন্য নয়, বরং জীবনে কাজে লাগানোর জন্য। এটি প্রতিটি সন্তানের জন্য একটি নৈতিক গাইডলাইন, যা তাদের মা বাবার সেবা ও সম্মানের পথে পরিচালিত করবে।
🔗 বইটি সংগ্রহ করতে পারেন এই লিঙ্কে: https://rkmri.co/om0NREeeAmAe/