
আজকের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বহুল আলোচিত আরিফ আজাদ-এর আত্ম-উন্নয়নমূলক সংকলন বেলা ফুরাবার আগে-এর একটি বিস্তারিত রিভিউ।
বইটি মূলত আমাদের জীবনের ক্ষণস্থায়ী সময়, আত্ম-অনুসন্ধান এবংআল্লাহর পথে ফিরে আসার আহ্বানকে কেন্দ্র করে রচিত। এটি সেইসব পাঠকের জন্য একটি আলোকবর্তিকা, যারা জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে ফিরছেন এবং সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে চাইছেন।
বইটির মূল ফোকাস কীওয়ার্ড— বেলা ফুরাবার আগে— যেমন এর শিরোনামে আছে, ঠিক তেমনই এর প্রতিটি লেখায় উঠে এসেছে জীবনের একটি মূল সত্য: “জীবনের কতগুলো বসন্ত পার হয়ে গেছে, ম্লান হয়ে গেছে কতশত কাকডাকা ভোর… সময়ের সরল সংখ্যা কমে আসছে ধীরে ধীরে।” এই উপলব্ধি পাঠককে জাগিয়ে তোলে এবং জীবনের জড়তা ত্যাগ করে ‘ঠিক ঠিক চিনে নিতে হবে পথ’— এই প্রত্যয় জাগায়।
বইটির মূল আকর্ষণ: এই সংকলনে লেখক বাস্তব জীবনের গল্প, ইসলামিক দৃষ্টিকোণ এবং গভীর দার্শনিক চিন্তাকে এমনভাবে একত্রিত করেছেন, যা পাঠকের মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে। এটি কেবল একটি ইসলামিক বই নয়, বরং এটি একটি জীবন আত্ম-পর্যালোচনা। বইয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় যা পাঠককে নাড়া দেবে:
- আত্ম-পর্যালোচনা: লেখক দেখিয়েছেন কীভাবে জীবনের ব্যস্ততায় আমরা নিজেদের আত্মার যত্ন নিতে ভুলে যাই এবং কীভাবে এই আত্ম-পর্যালোচনা আমাদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে পারে।
- সময়ের গুরুত্ব: সময়ের স্রোতে ভেসে না গিয়ে, কীভাবে সচেতনভাবে প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগানো যায়, তার অনুপ্রেরণা রয়েছে এতে।
- ফিরে আসার গল্প: যারা পাপের অতলে ডুবে আছেন, তাদের জন্য এটি একটি আশার বার্তা— কারণ ‘রাতওরাতেও সেধ আছে, ক্ষতিপূরণও আছে অবসান’।
কেন এই বইটি পড়া আবশ্যক? বেলা ফুরাবার আগে বইটি একুশে বইমেলায় বেস্টসেলার হওয়ার কারণ হলো, এটি হতাশাগ্রস্ত পাঠককে জীবনের পথে দৃঢ়ভাবে ফিরে আসার শক্তি যোগায়। এটি আপনার ভেতরের ঘুমন্ত ইচ্ছাশক্তিকে জাগিয়ে তুলবে, যেন সন্ধ্যের ঘনঘোর আঁধারে ডুবে যাবার আগেই আপনি আপনার জীবন তরীকে কূলে ভেড়াতে পারেন।
🔗 বইটি সংগ্রহ করতে পারেন এই লিঙ্কে: https://rkmri.co/2lI2eRIlMAAR/